বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগে অনিয়ম
আপডেট সময় :
২০২৫-০৩-২২ ১৭:৪৪:৫২
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগে অনিয়ম
ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি, আওয়ামী দোসর প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রায় ২৫ জন জনবল আউটসোসিং এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করে। প্রত্যেকের নিকট হতে ৫ হতে ৭ লক্ষ টাকা করে উৎকোচ গ্রহন করে নিয়োগ প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠছে। বর্তমানে আউটসোসিং জনবলের সংখ্যা প্রায় ২৭৫ জন।
তিনি নিয়োগ প্রদান করে প্রথমে তাদেরকে ঢাকার অফিসে ১০/১২ মাস বসিয়ে রাখেন, তারপর কয়লা খনিতে পোষ্টিং দিয়ে থাকেন। এই অভিনব জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার কারন কি? বাস্তবতা হলো যারা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছে তারা চাকুরী হারানোর ভয়ে মুখ খুলছে না। গত জানুয়ারী ২০২৪ হতে জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত (৫) আগষ্ট ২০২৪ এর পট পরিবর্তনের পূর্বে) প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত বায়োমেট্রিক হাজিরা এবং ঢাকার লিয়াঁজো অফিসে রক্ষিত হাজিরা রেজিস্ট্রার চেক করলে ২৭৫ জন জনবলের ব্যপক গরমিল পাওয়া যাবে। কারণ তিনি বেশ কিছু তার নিটকতম আত্মীয়কে (যেমন- আপন ভাতিজা, আপন ভাগিনা ইত্যাদি) ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া বগুড়ার ঠিকাদার সেলিমের দুই ছেলে ও ঠিকাদার রাকিবের স্ত্রী ও বোনকে নিয়োগ প্রদান করে। যারা অফিস না করে বাড়ীতে বসে থেকে দীর্ঘদিন বেতন নিয়েছে। কয়লা খনির আশপাশের গ্রাম যেমন-চৌহাটি, ভবানীপুর, দুর্গাপুর, ময়মনসিংহ ও জামালগঞ্জ ইত্যাদি গ্রামের কয়েকজন ড্রাইভারসহ এটেনডেন্ট পদে প্রায় ১০/১৫ জন কে টাকার বিনিময় নিয়োগ দিয়ে প্রায় সবাইকে প্রথমে ঢাকা লিয়াঁজো অফিসে পোস্টিং দিয়ে ১০/১২ মাস পর প্রত্যেককে কয়লা খনিতে পোষ্টিং দিয়েছে। পেট্রোবাংলা কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে এই খাতে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পাবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকারের পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান খান প্রায় ৩ বছর কয়লা খনিতে দায়িত্ব পালনকালে আউটসোসিং হিসেবে ১ জন লোকও নিয়োগ প্রদান করেন নাই। আর সাইফুল ইসলাম সরকার তার দায়িত্ব গ্রহনের ২ বছরের মধ্যে ২৪/২৫ জনকে নানা কৌশলে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে কয়লা খনিতে গাড়ির চেয়ে ড্রাইভারের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে অনেক ড্রাইভার অফিসে এসে ডিউটি না করে মাস শেষে বেতন নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য যে, মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার কয়লাখনির আবাসিক এলাকায় ২৮/৩০ বছরের পুরাতন ৫০টির অধিক ফলজ বৃক্ষ কোন রকম প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রয় করেছেন। তিনি গাছ কাটা বা বিক্রয়ের পূর্বে বন বিভাগ/ পরিবেশ অধিদপ্তর বা এ সংক্রান্ত কোন প্রতিষ্ঠান হতে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে ফলজ বৃক্ষ কর্তন করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে এবং ফলজ বৃক্ষ বিক্রয়ের কোন অর্থ কয়লা খনি সংশ্লিষ্ট কোন ডিভিশনের কোন ব্যাংক হিসাবে জমা করেছেন কি না তা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এলাকাবাসি সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনারয়ের আসু-হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স